মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, ইনশাল্লাহ নিম্নোক্ত ৩টি প্রশ্নে আর কখনোও কনফিউশন থাকবে না।
প্রশ্ন - ১: মুক্তিযুুদ্ধে ‘‘বীর উত্তম’’ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা - ৬৮ জন না ৬৯ জন?
প্রশ্ন - ২: মুক্তিযুুদ্ধে ‘‘বীর বিক্রম’’ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা - ১৭৫ জন না ১৭৬ জন?
প্রশ্ন - ৩: মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত সর্বমোট বীর মুক্তিযোদ্ধা - ৬৭৬ জন না ৬৭৭ জন?
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
উত্তর - ১: মুক্তিযুুদ্ধে ‘বীর উত্তম’ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা
বীর উত্তম ৬৮ জন না ৬৯ জন তা নিয়ে প্রথম বিভ্রান্ত তৈরি হয় ২০১০ সালে যখন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল উদ্দিন আহমদকে বীর উত্তম খেতাব দেওয়া হয়! লক্ষ্য করুন -
  • ২০১০ সালে কর্নেল জামিলকে মরণোত্তর ‘‘ব্রিগেডিয়ার জেনারেল’’ পদবি দেয় - বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
  • ১৫ এপ্রিল, ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সামরিক সচিব শহীদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল উদ্দিন আহমদকে মরণোত্তর ‘বীর উত্তম’ পদক প্রদান করে।
  • এর ফলে স্বাভাবিকভাবে বীর উত্তম সংখ্যা ৬৮ জন থেকে ৬৯ জনে উন্নীত হয় কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তা আদৌও গেজেট আকারে প্রকাশ করে নি।
  • সুতরাং, মুক্তিযুুদ্ধে ‘বীর উত্তম’ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা - ৬৮ জন ই। [গেজেট প্রকাশ করলেই তবে ৬৯ জন বলা যাবে]।
  • [সোর্স: ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান নীতিমালা, ২০১৩’ এ বীর উত্তম সংখ্যা ৬৮ জনই উল্লেখ করা হয়েছে।]
উত্তর - ২: মুক্তিযুুদ্ধে ‘‘বীর বিক্রম’’ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা
বীর বিক্রম সংখ্যা ১৭৫ না ১৭৬ জন তা নিয়ে কনফিউশন তৈরি হয় ৬ জুন,২০২০ সালে - যখন ‘মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ ‘বীর বিক্রম’ নায়েক আবদুল খালেকের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা সংযোজন করে গেজেট প্রকাশ করে। লক্ষ্য করুন -
  • ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে ৬৭৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ৪টি ক্যাটাগরিতে বীরত্ব খেতাব ভূষিত করে গেজেট প্রকাশ করে।
  • ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭৩ সালের ঘোষিত ১ম গেজেট এবং ১১ মার্চ, ২০০৪ সালের (নির্ভুল ও সঠিকভাবে চূড়ান্তকরণ) প্রকাশিত গেজেটের ১৩৭ নং ক্রমিক লিস্টে নায়েক আবদুল খালেকের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
  • কিন্তু উপরোক্ত ২টি গেজেটেই উনার পিতার নাম ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা উল্লেখ ছিলো না! ফলে সম্প্রতি ৬ জুন, ২০২০ সালে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।
  • সুতরাং, গেজেটভুক্ত বীরবিক্রম - ১৭৫ জন ই।
  • ‘একনজরে ‘বীর বিক্রম’ নায়েক আবদুল খালেক’:
  1. জন্মস্থান: চাঁপাল, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
  2. পিতা: মৃত কামির উদ্দীন মন্ডল।
  3. ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে নায়েক হিসেবে যোগ দিয়ে ১৯৬৯ সালেই বাবার ইচ্ছায় স্বেচ্ছায় অবসর নেন।
  4. মুক্তিযুদ্ধকালীন আঞ্চলিক বাহিনী দুর্বার প্লাটুনের কমান্ডার হিসেবে ৭নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
উত্তর - ৩: মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত সর্বমোট বীর মুক্তিযোদ্ধা:

  • বীর শ্রেষ্ঠ - ৭ জন। [সর্বোচ্চ খেতাব]
  • বীর উত্তম - ৬৮ জন
  • বীর বিক্রম - ১৭৫ জন।
  • বীর প্রতীক - ৪২৬ জন। [সর্বনিম্ন খেতাব]
  • অর্থাৎ: (৭+৬৮+১৭৫+৪২৬ = ৬৭৬ জন)। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত সর্বমোট বীর মুক্তিযোদ্ধা ৬৭৬ জন।

প্রশ্ন - ১: মুক্তিযুুদ্ধে ‘‘বীর উত্তম’’ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা - ৬৮ জন না ৬৯ জন? প্রশ্ন - ২: মুক্তিযুুদ্ধে ‘‘বীর বিক্রম’’ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা - ১৭৫ জন না ১৭৬ জন?  প্রশ্ন - ৩: মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত সর্বমোট বীর মুক্তিযোদ্ধা - ৬৭৬ জন না ৬৭৭ জন?



প্রশ্ন - ১: মুক্তিযুুদ্ধে ‘‘বীর উত্তম’’ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা - ৬৮ জন না ৬৯ জন?
প্রশ্ন - ২: মুক্তিযুুদ্ধে ‘‘বীর বিক্রম’’ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা - ১৭৫ জন না ১৭৬ জন?
প্রশ্ন - ৩: মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত সর্বমোট বীর মুক্তিযোদ্ধা - ৬৭৬ জন না ৬৭৭ জন?