সহকারী শিক্ষকদের চারটি পদোন্নতির আশ্বাস এবং সহকারী শিক্ষকদের দাবির মিল অমিল
সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি দাবি নিয়ে অনেক দিন ধরেই বেশ আলোচনা হচ্ছে। গত দিনে প্রাইমারি অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক একটা লাইভে এসে বলেছেন প্রাইমারি সহকারি শিক্ষকদের জন্য চারটি পদন্নোতি থাকছে। শিক্ষার মান উন্নয়নে মেধাবী ছেলে মেয়েদের প্রাইমারি শিক্ষক হিসাবে টানতে এই পদন্নোতি রাখা হয়েছে। কিন্তু কি ভাবে সে পদন্নোতি হবে , কে প্রথমে পাবে, কোন কোন পদে পাবে তার বিষয়ে কিছু বলা হয় নাই।
এখন প্রশ্ন,
চারটা পদে এই পদন্নোতি কি মেধাবীদের কোন কাজে আসবে?
না, এই পদন্নোতি মেধাবীদের কোন কাজে আসবে না। কারন মহাপরিচালক স্যার যে ভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সমন্ধে বললেন তা হল, সব চেয়ে সিনিয়র শিক্ষক হবে সহকারী প্রধান শিক্ষক। এ থেকে বুঝা যায় পদন্নোতি হবে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে। পদন্নোতি যদি সিনিয়রিটির ভিত্তিতে হয় তাইলে মেধার এখানে কোন দরকার নাই। এখানে দরকার অভিজ্ঞতার (যার যত আগে জয়েনিং তার তত অভিজ্ঞতা)।
কিন্তু সমস্যা হবে তখন , যখন ২০১২ ব্যাচে জয়েন্ট করা একজন শিক্ষক শুধু মাত্র তার স্কুলে তার চেয়ে প্রবীণ কোন শিক্ষক না থাকায় সহকারী প্রধান শিক্ষক হবে কিন্তু ২০০২ জনেন্ট করা শিক্ষক তার চেয়ে প্রবীণ শিক্ষক থাকায় সহকারী প্রধান শিক্ষক হতে পারবে না। যদি স্কুলের সিনিয়রিটি ভিত্তিতে পদন্নোতি হয় তাইলে এই সমস্যা কি ভাবে মেটাবে?
আবার এমন হতে পারে, সিনিয়র শিক্ষকদের পদন্নোতি দিয়ে অন্য স্কুলে বদলি করে দেওয়া। যদি এমন করা হয় তবে এক ব্যাচে যোগদান করা সবাইকে পদন্নোতি দিতে হবে। না হলে একই ব্যাচের কেউ সহকারী প্রধান শিক্ষক হবে আর কেউ হবে না এটা হবে চরম বৈষম্য।
এই সমস্যা সমাধানের দুটি উপায় আছে,
- বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীদের নিয়োগ দেওয়া। এতে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হতে পারবে।
- অন্য অন্য জবের মত একটা নির্দিষ্ট সময় চাকুরীর পর (হোক সেটা ৫ বা ৭ বছর)আটো পদন্নোতি হবে সহকারী প্রধান শিক্ষকে। তাতে তার পোস্ট থাক বা না থাক সে সহকারী প্রধান শিক্ষক। এবং একই স্কুলে একাধিক সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকতে পারবে। ( বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারীদের মত)।
সহকারী প্রধান শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষকে নিয়োগের ক্ষেত্রে একই সমস্যা হবে। তাই এই নিয়োগ গুলোর ক্ষেত্রে হয় পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে না হয় একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে সবার পদন্নোতি দিতে হবে, যাতে করে কারো সাথে বৈষম্য করা না হয়।
এবার আসি এটিও টিও নিয়োগ প্রসঙ্গে,
একটা উপজেলায় একজন টিও এবং পাচ সাত বা দশ জন (আনুমানিক) এটিও থাকে। পরীক্ষা না নিয়ে কি ভাবে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে এই পদে নিয়োগ হবে?
সিনিয়রিটির ভিত্তিতে পদন্নোতি দিলে যে যোগ্য না সেও পদন্নোতি পেলে লাফিয়ে চলে আসবে। তাই এখানে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে অবশ্যই এক্সামের আয়োজন করতে হবে।
তাই এই কথা বলাই যায়, সিনিয়রিটির ভিত্তিতে যে পদন্নোতি তাতে কোন ভাবেই মেধার মূল্যায়ন হবে না। আর এতে আমাদের দাবি গুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
তাই সবার আগে মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে দরকার মেধাবী শিক্ষক। আর মেধাবী শিক্ষক বের করে আনার জন্য দরকার প্রতিযোগিতা। তাই আমাদের দাবি গুলো বাস্তবায়ন করা হক।
আমাদের দাবি...
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
- সব শিক্ষক কে বিভাগীয় প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা।
- বিভাগীয় প্রার্থীদের বয়স ৪৫ বছর রাখা।
- সহাকারী শিক্ষক পদ কে এন্ট্র লেভেল হিসাবে ধরে প্রাইমারি অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট নিয়োগ যোগ্য সব ( এটিও, টিও, বিভিন্ন ইন্সট্রাকটর সহ অন্যান্য পদ )পদে আবেদনের সুযোগ দেওয়া।
- সব পদে ১০০% বিভাগীয় পার্থীদের নিয়োগ দেওয়া।
সহকারী শিক্ষক
ব্যাচ ২০১২
![]() |
| সহকারী শিক্ষকদের দাবি |


0 Comments